১২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল: জাতিসংঘ

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ১০:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭ Time View

জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সাবেক সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে করা হয়েছিল।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর আড়াইটায় জেনেভায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা। তার আগে বিভিন্ন মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।

বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে শেখ হাসিনা আন্দোলনের সমন্বয়কদের গ্রেফতার করে মেরে ফেলে, গুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল কোর কমিটি। ২০ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈঠক করতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার ৪শ মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে। আহত ১১ হাজার ৭শ’র মতো। নিরস্ত্র নাগরিকের ওপর এসকেএস, ‘টাইপ ফিফটি-সিক্স’ ও ‘বিডি- জিরো এইট’ বন্দুক দিয়ে সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু এমএম গুলি চালানোর প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘঠিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আমলে নিয়েছে জাতিসংঘ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী মো. জহিরুল হক স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল: জাতিসংঘ

Update Time : ১০:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সাবেক সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে করা হয়েছিল।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর আড়াইটায় জেনেভায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা। তার আগে বিভিন্ন মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।

বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে শেখ হাসিনা আন্দোলনের সমন্বয়কদের গ্রেফতার করে মেরে ফেলে, গুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল কোর কমিটি। ২০ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈঠক করতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার ৪শ মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে। আহত ১১ হাজার ৭শ’র মতো। নিরস্ত্র নাগরিকের ওপর এসকেএস, ‘টাইপ ফিফটি-সিক্স’ ও ‘বিডি- জিরো এইট’ বন্দুক দিয়ে সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু এমএম গুলি চালানোর প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘঠিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আমলে নিয়েছে জাতিসংঘ।