স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশের কাছে ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে পুলিশের আইজিপির যুক্তরাজ্য উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ
আদানি গ্রুপের বকেয়া ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আদানির পুরো তথ্য এখনো এনার্জি মিনিস্ট্রিতে আসেনি। এটা যদি সত্য হয় তাহলে আমরা খুব শকড। আমরা আদানির পেমেন্ট যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
‘তার যে ব্যাকলগ হয়েছে সেটার জন্য মূলত দায়ী আগের স্বৈরাচারী সরকার। তারা বিশাল অংকের বকেয়া রেখে গেছে। সে কারণে এটা বেড়ে গিয়েছিল। আমরা গত মাসে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি, যেটা তার আগের মাসের দ্বিগুণ,’ বলেন তিনি।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আমরা কারও জিম্মি হব না। কোনো একক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর কাছে জিম্মি হব না। আমাদের দিক থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যেন আরও দ্রুত পরিশোধ করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ বাড়া শুরু হয়েছে।প্রবাসীরা বর্তমান সরকারের উপর আস্থা রেখে বিদেশে থেকে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে,আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এটা থমকে গিয়েছিল, এটা এখন ফিরে এসেছে। এখন আমরা রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক বিলগুলো পরিশোধ করতে পারছি। এখন আদানির বকেয়া আছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। আমরা এটা দ্রুত পরিশোধ করার আশা রাখি। আমরা এটা পারব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ”পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বড় নেতা থেকে পাতি নেতা পর্যন্ত টাকা পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। কত টাকা পাচার হয়েছে তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।