০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

করিডরের ইস্যুতে সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি:জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ০১:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৫ Time View

Oplus_131072

মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে করিডর দেয়ার বিষয়ে কারও সাথেই কোনও কথা হয়নি এবং এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রাণ সরবরাহের একটি ‘চ্যানেল’ তৈরির জাতিসংঘের প্রস্তাব বাংলাদেশ বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

তিনি বলেছেন, আরাকানের যে পরিস্থিতি তাতে করিডর দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যদি করিডর বিষয়ক কোনও সিদ্ধান্ত হয় তখন বাংলাদেশ ভেবে দেখতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিরাপত্তা মাথায় রেখে আরাকানের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আজ বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

খলিলুর রহমান বলেন, করিডর দেয়ার ব্যাপারে আমেরিকা ও চীনের কোনও চাপ নেই। করিডর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সাথেও সরকারের কোনও দ্বিমত নেই।

সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এ উপদেষ্টা দাবি করেন, করিডর ইস‍্যুতে প্রচারণা বাংলাদেশ থেকে হয়নি। এটি প্রতিবেশী দেশের থেকেই প্রচারণা চালানো হয়েছে।

আরাকানের পরিস্থিতি খারাপ হওয়াতে এখন রোহিঙ্গা প্রত‍্যবাসন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন খলিলুর রহমান। ফের জানান, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত‍্যবাসনই সরকারের লক্ষ‍্য।

তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ‍্যা কত তা সংরক্ষণ করে ইউএনএইচসিআর। রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটা আগের সরকার চায়নি। বর্তমান সরকার এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ডেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে ক্রস চেক করলেই জানা যাবে ক্যাম্পের বাহিরে কত রোহিঙ্গা আছে।

বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট নেই বলেও দাবি করেছেন খলিলুর রহমান। বলেছেন, আমার একটাই সিটিজেনশিপ, বাংলাদেশি সিটিজেনশিপ। আমি এখানে আসার আগে আমেরিকায় থেকেছি, কিন্তু আমার আমেরিকান কোনও পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট নেই। আমি যেটা নই, আমাকে সেটা বানাবেন না প্লিজ। আপনারা আমাকে ঢিল ছুড়লে সেটা অন্য কারও ওপরেও পড়তে পারে। প্লিজ স্টপ ইট।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন ধরে লেখালেখি করা হচ্ছিল যে খলিলুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব আছে। দ্বৈত নাগরিকত্বধারী কোনও ব্যক্তি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো দায়িত্বে থাকতে পারেন কি না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এরইপ্রেক্ষিতে তিনি এই বক্তব্য দিলেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

করিডরের ইস্যুতে সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি:জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা

Update Time : ০১:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে করিডর দেয়ার বিষয়ে কারও সাথেই কোনও কথা হয়নি এবং এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রাণ সরবরাহের একটি ‘চ্যানেল’ তৈরির জাতিসংঘের প্রস্তাব বাংলাদেশ বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

তিনি বলেছেন, আরাকানের যে পরিস্থিতি তাতে করিডর দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যদি করিডর বিষয়ক কোনও সিদ্ধান্ত হয় তখন বাংলাদেশ ভেবে দেখতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিরাপত্তা মাথায় রেখে আরাকানের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আজ বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

খলিলুর রহমান বলেন, করিডর দেয়ার ব্যাপারে আমেরিকা ও চীনের কোনও চাপ নেই। করিডর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সাথেও সরকারের কোনও দ্বিমত নেই।

সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এ উপদেষ্টা দাবি করেন, করিডর ইস‍্যুতে প্রচারণা বাংলাদেশ থেকে হয়নি। এটি প্রতিবেশী দেশের থেকেই প্রচারণা চালানো হয়েছে।

আরাকানের পরিস্থিতি খারাপ হওয়াতে এখন রোহিঙ্গা প্রত‍্যবাসন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন খলিলুর রহমান। ফের জানান, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত‍্যবাসনই সরকারের লক্ষ‍্য।

তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ‍্যা কত তা সংরক্ষণ করে ইউএনএইচসিআর। রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটা আগের সরকার চায়নি। বর্তমান সরকার এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ডেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে ক্রস চেক করলেই জানা যাবে ক্যাম্পের বাহিরে কত রোহিঙ্গা আছে।

বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট নেই বলেও দাবি করেছেন খলিলুর রহমান। বলেছেন, আমার একটাই সিটিজেনশিপ, বাংলাদেশি সিটিজেনশিপ। আমি এখানে আসার আগে আমেরিকায় থেকেছি, কিন্তু আমার আমেরিকান কোনও পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট নেই। আমি যেটা নই, আমাকে সেটা বানাবেন না প্লিজ। আপনারা আমাকে ঢিল ছুড়লে সেটা অন্য কারও ওপরেও পড়তে পারে। প্লিজ স্টপ ইট।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন ধরে লেখালেখি করা হচ্ছিল যে খলিলুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব আছে। দ্বৈত নাগরিকত্বধারী কোনও ব্যক্তি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো দায়িত্বে থাকতে পারেন কি না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এরইপ্রেক্ষিতে তিনি এই বক্তব্য দিলেন।