নিজস্ব প্রতিবেদক:ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলাধীন পৌর শহরের কালীপুর মধ্যম তরফের বাসিন্দা দিনেশ কুমার দাস। অভাব অনটনের কারণে ছেলেবেলা থেকেই স্কুল ছেড়ে পুরাতন জুতা মেরামতের কাজে লেগে যান। তখন তার বাবা ছিলেন অসুস্থ । উপার্জনের টাকা দিয়ে তিনি বাবার চিকিৎসা ও সংসার চালাতেন। এখন তার পরিবারে স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। এই পেশায় তার ৩৫/৩৬ বছর পেরিয়ে গেলে এমনও অনেক সময় গেছে তিনি অনাহারেও পর্যন্ত কাটিয়েছেন তবুও তিনি কারো কাছে হাত পাতেননি। তিনি অন্যের জমিতে ছোট্ট একটি চালা ঘরে বসবাস করেন। জরাজীর্ণ এ জায়গাটি আশ্রয়স্থল বা কাঠামো বিবেচনায় ‘ঘর’ হলেও জীবনযাপনের উপযোগিতার বিচারে অনেকটা অবাকই হতে হয়।
আরও পড়ুন
ঘুষের টাকা বৈধ করতে তহশিলদারের খোঁড়া যুক্তি!
গৃহকর্তা জানান, নানা দুর্দশা ও দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ঘরটি পুকুর পাড়ে অবস্থিত থাকায় বর্ষাকালে পানি ঢোকে। টয়লেটের নোংরা পানিতেও তলিয়ে যায় প্রায়ই। শুধু বসবাসের সমস্যাই হয় না, পরিবারের সদস্যরাও ভোগেন নানা রোগব্যাধিতে।
সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল- ঘরটি যেকোন সময় ভেঙে পুকুরে চলে যেতে পারে। তাই আশ্রয়হীনতার আতঙ্কেও ভোগেন তারা।
দিনেশ কুমার জানান, সম্প্রতি তার সংসারের করুণ অবস্থা দেখে স্থানীয় সুধীজন বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদেকে জানানোর পর তিনি সরেজমিনে দেখতে যান। তবে বদলিজনিত কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি ইউএনও। সে খরচ যোগানো ও সংসার চালানো যেখানে কঠিন তারওপর ঘর নির্মাণের স্বপ্ন দেখা তার কাছে বিলাসিতাই বটে!
তাই দিনেশ কুমারের আক্ষেপভরা উক্তি-
‘আমি গরিব বলে আমার পাশে কেউ দাড়াঁয় না। বহুবার সরকারি সাহায্যের চেষ্টা করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।’