আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আদালতে গুমের অভিযোগে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তবে অভিযোগ বিলম্বে দায়ের করায় ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেছেন তিনি।
অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি আন্তর্জাতিক আদালতে আমার নিজের মামলাটি রেকর্ড করালাম। প্রাথমিকভাবে সাতজনকে আসামি করেছি। শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং র্যাব ও পুলিশের যারা জড়িত ছিল, তাদের।”
তবে তদন্ত পর্যায়ে আরও অনেক “আননোন আসামি বের হবে”, যেগুলা তার পক্ষে এখনো “আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করা সম্ভব হয়নি” বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা “এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের শিকার হয়েছেন, যারা জুডিশিয়াল কিলিং-এর শিকার হয়েছেন, যারা পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যূবরণ করেছেন, যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন”, তাদের সকলকে মামলা করার আহ্বানও জানান তিনি।
স্বাধীন বিচার বিভাগের মধ্য দিয়ে এই বিচারিক প্রক্রিয়া চালু থাকবে এবং এখানে কোনো পক্ষপাত হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা।
এসময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, তার কেন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে দেরি হলো?
“আপনি প্রত্যেকদিক আমার রাজনৈতিক ও সংস্কার কার্যক্রম যদি দেখেন…এগুলো নিয়ে আমার এত ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে যে এগুলো (গুমের অভিযোগ দায়ে) নিয়ে বা নিজের জন্য আলাদাভাবে সময় বের করতে পারিনি এতদিন,” বলেন মি. আহমেদ।
“আর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, আইনজীবীদের সাথে আলাপ করে ভালোমতো একটা ড্রাফট রেডি করে জমা দেয়া, যাতে করে এই মামলাটা আমরা প্রমাণ করতে পারি, সেটার জন্য একটু সময় লাগে। তারপরও আমার কিছুদিন বিলম্ব হয়েছে। এটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। আমি জানি যে এই বিলম্বের জন্য আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে।”