বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরাতে আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ আইন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বিদেশে সন্তানের পড়াশোনার টিউশন ফি পাঠানোর নামে টাকা পাচার করা হতো। শেখ হাসিনা ও তার পরিবার টাকা পাচারের শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে এগারো সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলারই ব্যাংক খাত থেকে পাচার হয়েছে।
এসব পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেছেন মি. আলম।
“ যেভাবেই হোক এ টাকাটা আমরা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছি। এই লক্ষ্যে টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে। টাকা ফেরত আনতে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে- তা নিয়ে আজকে প্রায় দেড় ঘন্টার মিটিং হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়ালেখা করতে যায়। এক ঘটনায় দেখা গেছে, ছেলের একটি সেমিস্টারের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
ওই বৈঠকেই পাচার করা টাকা দ্রুত ফেরাতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আলোচনা করা হয় বলে জানিয়েছেন শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “এসব টাকা ফেরানো খুবই সময়সাধ্য ব্যাপার। ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনো সিলেকশন হয়নি। একটা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে।”