০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

প্রতারণা হামলায় জামিন পেলেন মডেল মেঘলা আলম

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ১২:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯ Time View

Oplus_131072

স্টাফ রিপোর্টার :রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা আলমের পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে নারী বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে মেঘনাকে গ্রেফতার দেখান।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত দুই-তিন জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী নারীদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। দেওয়ান সমির ‘কাওয়াই গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা গেছে। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। নারীদের ওই প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক করার লক্ষ্যে সহযোগী আসামিদের সহায়তায় বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করতেন দেওয়ান সমির। এভোবে তিনি বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করতেন।

গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২২ এপ্রিল এ মামলায় তার আরও চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে টিম গঠন করলো দুদক

প্রতারণা হামলায় জামিন পেলেন মডেল মেঘলা আলম

Update Time : ১২:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা আলমের পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে নারী বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে মেঘনাকে গ্রেফতার দেখান।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত দুই-তিন জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী নারীদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। দেওয়ান সমির ‘কাওয়াই গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা গেছে। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। নারীদের ওই প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক করার লক্ষ্যে সহযোগী আসামিদের সহায়তায় বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করতেন দেওয়ান সমির। এভোবে তিনি বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করতেন।

গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২২ এপ্রিল এ মামলায় তার আরও চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।