স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন।
লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার আজকের (২ জুন, ২০২৫) বিনিময় হার:
মুদ্রার নাম | বাংলাদেশি টাকা |
ইউএস ডলার | ১২২ টাকা ১৩ পয়সা |
ইউরো | ১৩৮ টাকা ৪১ পয়সা |
পাউন্ড | ১৬৪ টাকা ৬৫ পয়সা |
ভারতীয় রুপি | ১ টাকা ৪১ পয়সা |
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত | ২৬ টাকা ৮৩ পয়সা |
সিঙ্গাপুরি ডলার | ৯১ টাকা ৪২ পয়সা |
সৌদি রিয়াল | ৩২ টাকা ৫৫ পয়সা |
কানাডিয়ান ডলার | ৮৪ টাকা ৫৫ পয়সা |
কুয়েতি দিনার | ৩৯৬ টাকা ৬৫ পয়সা |
অস্ট্রেলিয়ান ডলার | ৭৫ টাকা ১১ পয়সা |
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। জিডিপি কিংবা পার ক্যাপিটা (মাথাপিছু আয়) হিসাবও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে করা হয় পশ্চিমা মুদ্রায়।
বাংলাদেশের মুদ্রা চালু হয় কবে?
বাংলাদেশে প্রথম কাগুজে নোট চালু করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই দিন প্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করা হয়। এর আগ পর্যন্ত লেনদেনে পাকিস্তানি রুপি ব্যবহার করা হতো। কেউ কেউ ভারতীয় রুপিও গ্রহণ করতেন। এসব নোটে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র মুদ্রিত ছিল। এরপর ১৯৭২ সালের ২ মে ১০ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ২ জুন বাজারে আসে ৫ টাকা মূল্যমানের নোট। সে সময় ১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়।
কোন দেশে টাকার মান সবচেয়ে বেশি?
কুয়েতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে কুয়েতি দিনার বিশ্বের সর্বোচ্চ মুদ্রা হিসেবে রয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি প্রধানত তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। কারণ এটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভগুলির একটি।