০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

মেজর সিনহা হত্যা, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ০৫:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ০ Time View

Oplus_131072

নিজস্ব প্রতিবেদক:সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা পাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও শামীমা দিপ্তি। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি একটি আলোচিত মামলা। তিনি ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসিসহ বিচারিক আদালতের পুরো রায় বহালের আবেদন করেন।

এর আগে ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে।

তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর, যিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। এছাড়া সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করে সাড়ে চার বছর আগে মেজর সিনহাকে হত্যার ঘটনা সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছিল দেশজুড়ে।

মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

নিজের গুম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

মেজর সিনহা হত্যা, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

Update Time : ০৫:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা পাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও শামীমা দিপ্তি। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি একটি আলোচিত মামলা। তিনি ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসিসহ বিচারিক আদালতের পুরো রায় বহালের আবেদন করেন।

এর আগে ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে।

তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর, যিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। এছাড়া সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করে সাড়ে চার বছর আগে মেজর সিনহাকে হত্যার ঘটনা সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছিল দেশজুড়ে।

মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।