বিএনপি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এই বৈঠকটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। আগামী ১৩ জুন এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা-১১ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা চলবে এই বৈঠক।
সোমবার (৯ জুন) বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হওয়ার বিষয়ে।
বিএনপি’র মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরআগে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডনে উদ্দেশে রওনা হন।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সোমবার রাতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে চেয়াপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে। বৈঠকে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তারেক রহমান নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন। বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়ে আলাদা করে সবার মত নেন। কয়েকজন নেতা বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করলেও দীর্ঘ আলোচনায় নানা হিসেব নিকেস করে নেতারা সবাই এই বৈঠকের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসেন।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ এই বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি’র নেতারা এই বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও বৈঠকের বিষয়ে পজেটিভ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে এই বিষয়ে বিএনপি’র এক সিনিয়র নেতা সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস’কে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এর সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন লন্ডনে।’
বিএনপি শীর্ষ নেতাদের ধারণা, দুই নেতার এই প্রথম সাক্ষাতের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনের সময়, নির্বাচন পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রাসঙ্গিকতা সহ নানা গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে।