স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আজ অনেকে অনেক ধরনের সংস্কারের কথা বলছেন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, যে কাজ করলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে তাকেই সংস্কার বলে।’
সংবিধান সংস্কারের প্রসঙ্গ ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘শুধু বইয়ের কিছু লাইন পরিবর্তন করলেই সংস্কার হয়ে যায় না। বেকারদের কর্মসংস্থান, নারীদের স্বাধীনতা, মানুষের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে তাকেই সংস্কার বলব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর শহরের মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানে আয়োজিত স্মরণসভায় তারেক রহমান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।গত মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বক্তৃতাকালে তারেক রহমান সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘জনগণের অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়েছে। কিন্তু দেশে এখনো ক্রান্তিকাল চলছে।
কারণ স্বৈরাচার এর দোসররা পালালেও তার চেলা শিষ্যরা এখনো ও রয়ে গেছে। তারা ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে চলেছে।তাদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাহলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তাই বলতেই হবে, আমরা এখনো ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি।’
মরহুম তরিকুল ইসলামের স্মৃতিচারণা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা।
আন্দোলন-সংগ্রামে অবদানের জন্য জাতি যে কয়জনকে নিয়ে গর্ব করতে পারে, তরিকুল ইসলাম তাদের একজন। ২০১৩ সালের আন্দোলনে তিনি অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে বিপুল জনসমাগম তার গণসম্পৃক্ততার সাক্ষ্য দেয়। তার শূন্যতা আমরা অনুভব করছি।’
গণতন্ত্র ও বিএনপি নিয়ে হাছান মাহমুদের বক্তব্য ভূতের মুখে রামনাম:মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘২০০৮-এর পর স্বৈরাচার জাতির কাঁধে চেপে বসে।
পতিত স্বৈরাচার মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল। ২০১৪, ১৮, ২৪ সালে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। ছিনিয়ে নেওয়া অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য তরিকুল ইসলাম লড়ে গেছেন। তাকে আমরা যোদ্ধা হিসেবে চিনি। তিনি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার লড়াই করেছেন আজীবন।’
সমাবেশে আসা নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম তৃণমূলের সঙ্গে কখনো সম্পর্ক ছিন্ন করেননি, আদর্শবিচ্যুত হননি। তার কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমি নিজেও তার আদর্শ থেকে শেখার চেষ্টা করি।’
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তরিকুল ইসলামের ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্তকুমার কুন্ডু, যশোর জেলা কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতা চিন্ময় সাহা, প্রেস ক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যক্ষ আইয়ুব হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।