০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ২ Time View

Oplus_131072

 জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে   এদিন সৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে অবস্থান নেবেন বিশ্বের লক্ষ  হজযাত্রীরা। সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক..। আরাফাতের ময়দান  থেকে প্রচারিত হবে হজের খুতবা।

এবার হজে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। এই খুতবা বাংলাসহ ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে।

এর আগে আজ বুধবার তাঁবুর শহর মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সারাদিন হজযাত্রীরা সেখানে অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার রাতেই হজযাত্রীরা এহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেওয়া শুরু করেন। আজ জোহরের আগেই সব হজযাত্রী মিনায় নির্ধারিত তাঁবুতে অবস্থান নেবেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ফজরের পর আরাফাত ময়দানের উদ্দেশে রওনা দেবেন হজযাত্রীরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতেই ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হন ধর্মপ্রাণ অনেক মুসলমান। রাত্রি যাপন শেষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা।

আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়। এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি হজ পালন করছেন। মুসল্লিদের হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।

সৌদি আরবের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। আগামী ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবাহ দেবেন তিনি।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

বরকত উল্লাহ বুলু ও দুদুকে সতর্ক করেছে বিএনপি

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

Update Time : ০৬:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে   এদিন সৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে অবস্থান নেবেন বিশ্বের লক্ষ  হজযাত্রীরা। সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক..। আরাফাতের ময়দান  থেকে প্রচারিত হবে হজের খুতবা।

এবার হজে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। এই খুতবা বাংলাসহ ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে।

এর আগে আজ বুধবার তাঁবুর শহর মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সারাদিন হজযাত্রীরা সেখানে অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার রাতেই হজযাত্রীরা এহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেওয়া শুরু করেন। আজ জোহরের আগেই সব হজযাত্রী মিনায় নির্ধারিত তাঁবুতে অবস্থান নেবেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ফজরের পর আরাফাত ময়দানের উদ্দেশে রওনা দেবেন হজযাত্রীরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতেই ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হন ধর্মপ্রাণ অনেক মুসলমান। রাত্রি যাপন শেষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা।

আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়। এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি হজ পালন করছেন। মুসল্লিদের হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।

সৌদি আরবের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। আগামী ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবাহ দেবেন তিনি।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।