দিলীপ কুমার দাস, নিজস্ব প্রতিবেদক:জন্মের পর থেকেই বুকের গভীরে বয়ে চলা নিঃশব্দ এক যন্ত্রণার নাম তাইবা। মাত্র দশ বছর বয়সেই হার্টে ছিদ্র নিয়ে লড়ছিল সে মৃত্যুর সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।তাঁর আর্থিক সহায়তায় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবনের পেল তাইবা।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হাটশিরা-শিবনগর গ্রামের মৃত ওয়াজ কুরুনির মেয়ে তাইবা। সে নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা নেই। মা মোমেনা খাতুন অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। এক বছর আগে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তাইবা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার হৃদপিণ্ডে রয়েছে ছিদ্র, জন্মগত এক ত্রুটি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, দেরি না করে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
কিন্তু দরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে লাখ টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ছিল। বহু চেষ্টা করেও কারো সহানুভূতি আর সহায়তায় কাঙ্খিত অর্থ জোটেনি। অবশেষে সহায়তা চাইতে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের দ্বারস্থ হন তাইবার মা। শুনে আর দেরি করেননি তিনি। চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন।
সোমবার ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হয় তাইবার অস্ত্রোপচার। সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেই জটিল প্রক্রিয়া। বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠছে তাইবা।
এর আগে একই ধরনের জটিলতা নিয়ে জন্মানো তিন বছরের শিশু আব্দুল্লাহর চিকিৎসাও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে করিয়েছিলেন কায়সার কামাল। তাকেও সুস্থ করে বাড়ি ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের অসহায় মানুষের জন্য নিয়মিত হেল্থ ক্যাম্প করছি। সেখানে আসা শিশুরা যখন এই ধরনের জটিল রোগে ভোগে, তখন তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পারি না। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজ করছি। এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও চলবে।’
মানবিক এই উদ্যোগ নেত্রকোনার জনসাধারণের মধ্যে যেমন স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করেছে, তেমনি কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত তাইবার পরিবার।