স্টাফ রিপোর্টার:এক বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির টকশোতে ‘মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ’ ও ‘পুলিশ’ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে।
রোববার (০৩ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ শোকজ করা হয়।
আদালত অবমাননা বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি এবং বাদী যুথিকে লক্ষ টাকা জরিমানা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসিব আল ইসলাম, (সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ নামক টকশোতে মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
এতে আরও বলা হয়, হাসির আল ইসলামকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার আপত্তিকর মন্তব্যের যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদনের নির্দেশ দেওয়া হলো।নাহলে সংগঠন যে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।
এর আগে,গত ২৬ অক্টোবর বেসরকারি টিভি টকশোতে কথা বলার সময় উপস্থাপিকা হাসিব আল ইসলামকে প্রশ্ন করেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শপথ নেওয়া হয়েছিল, তখন কী আপস হয়নি? এর উত্তরে হাসিব বলেন, দেখুন, তখন কিন্তু আপস হয়নি। আমরা কিন্তু বলিনি, আমাদের যে বিপ্লবটা, যে অভ্যুত্থানটি হয়েছে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের যে এক দফার ঘোষণা, সেই ঘোষণাপত্রে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুরোপুরি বিলোপসহ ৩টি বিষয় উল্লেখ করেছিলাম। তখন শুধু ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছিল। বাকি আরও দুটো, তার মানে আমাদের লড়াইটা শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের বিপ্লবটা চলমান।
হাসিব আরও বলেন, আমরা এটাকে বিপ্লব বলছি বা গণঅভ্যুত্থান, যাই বলি না কেন, এটা কোনো সাংবিধানিক নিয়ম মেনে হয়নি, আইন মেনে হয়নি। আইন যদি মানতে যেতাম, তাহলে কিন্তু এই বিপ্লবগুলো হতো না।আমরা আন্দোলনের সময় যদি মেট্রোরেলে আগুন না দেওয়া হতো, যদি পুলিশদের হামলা, না মারা হতো তাহলে এই বিপ্লবটা এত সহজে অর্জিত হতো না। ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিত করা যেত না। এখানে কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে, পৃথিবীর সকল বিপ্লবই সংবিধান বা নিয়মের বাইরে যেয়ে হয়েছে। এ কারণে আইনের বাইরে যেয়ে বা সাংবাধানিক পদ শূন্য হবে এরকম কথা বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে কতটা যৌক্তিক সেটা আমার কাছে মনে হচ্ছে না।