স্টাফ রিপোর্টার:অন্তবর্তী কলীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বর্তমান সরকারের। কিন্তু যারা হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত দেশের আদালতে তাদের বিচার করা হবে।
ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি এ-ও বলেন, সরকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ করার ভাবনা বাদ দেয়নি। জাতিসংঘের একটি সত্যানুসন্ধান মিশন জুলাই গণ অভ্যুত্থানের প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
“এটা এখনো বিবেচনায় আছে” বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
এ সপ্তাহে সশস্ত্র আরসা নেতা আতাউল্লাকে গ্রেপ্তার করায় সরকারের প্রশংসা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এই প্রতিনিধি দল।
দলটি বলেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতির চিহ্ন বহন করে এটি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে এই প্রতিনিধি দলটি।
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা জোগাড় করার জন্য ঢাকা কাজ করছে। একইসাথে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘের আসন্ন বিশেষ সম্মেলনে বিষয়টির প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের ব্যাখ্যা করে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের চেয়ে স্বল্প পরিসরে সংস্কার চায় সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। তবে যদি বৃহত্তর আকারে সংস্কার চাওয়া হয় তবে নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন,” নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোন কারণ নেই আমাদের।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, ঐক্যমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আজ বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু করেছে
বাংলাদেশ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ছড়ানো ভুয়া তথ্যকে রুখে দিতে বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই গ্রুপের নেতা ।
পরিশেষে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের দৃঢ় সম্পর্কের আকাঙ্খা রয়েছে। যদিও তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারিত বেশির ভাগ ভুয়া তথ্য ভারতের গণমাধ্যম থেকে প্রচার হয়েছে।