১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিন: লড়াই কি এখন ‘রোবট যুদ্ধে’ রূপ নিচ্ছে

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ০৯:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ১০ Time View

ইউরি শেলমুক ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ড্রোন সিগন্যাল জ্যামার তৈরির জন্য গত বছর প্রতিষ্ঠান গড়েন তিনি। ইউরি বলেন, শুরুর দিকে তাঁর তৈরি সামরিক সরঞ্জামের চাহিদা বেশ কম ছিল। এখন দিন বদলে গেছে। প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ সরঞ্জাম তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রয়াদেশের চাপ এত বেশি যে, এই সরঞ্জাম পেতে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

চাহিদা বদলাতে শুরু করে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মের পরপর। ওই সময় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এর ফলে ইউক্রেনীয়দের ঘাড়ে রীতিমত নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে রুশ বাহিনী। তখন কিয়েভ অভিযোগ করে, লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংস করতে রুশবাহিনী ব্যাপকমাত্রায় অজ্ঞাত আকাশযান ব্যবহার করছে। যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভূমিমাইন। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সেনা।

পরিস্থিতি নিয়ে ইউরি শেলমুক বলেন, অনন্য আর সস্তা ড্রোনগুলো আমাদের (ইউক্রেনের) প্রতিরোধ যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিল। বোঝা গিয়েছিল, যুদ্ধে নতুন ‘গেম চেঞ্জার’ হাজির হয়েছে।

এরপর থেকে ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম তৈরির শিল্প হালে পানি পায়। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উৎপাদন খাতে আট শতাধিক কোম্পানি গড়ে উঠেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর ১০০০তম দিন আজ ১৯ নভেম্বর।

যুদ্ধের শুরুর দিকে আকাশপথে জোরালো হামলা চালানো হয়। ব্যবহার হয় ড্রোনও। পরবর্তীতে স্থল আর সমুদ্র যুদ্ধের বিস্তার ঘটে। মোতায়েন করা হয় ড্রোনবিধ্বংসী প্রযুক্তি। সেই সঙ্গে যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারও ক্রমেই বাড়ানো হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী মো. জহিরুল হক স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিন: লড়াই কি এখন ‘রোবট যুদ্ধে’ রূপ নিচ্ছে

Update Time : ০৯:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ইউরি শেলমুক ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ড্রোন সিগন্যাল জ্যামার তৈরির জন্য গত বছর প্রতিষ্ঠান গড়েন তিনি। ইউরি বলেন, শুরুর দিকে তাঁর তৈরি সামরিক সরঞ্জামের চাহিদা বেশ কম ছিল। এখন দিন বদলে গেছে। প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ সরঞ্জাম তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রয়াদেশের চাপ এত বেশি যে, এই সরঞ্জাম পেতে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

চাহিদা বদলাতে শুরু করে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মের পরপর। ওই সময় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এর ফলে ইউক্রেনীয়দের ঘাড়ে রীতিমত নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে রুশ বাহিনী। তখন কিয়েভ অভিযোগ করে, লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংস করতে রুশবাহিনী ব্যাপকমাত্রায় অজ্ঞাত আকাশযান ব্যবহার করছে। যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভূমিমাইন। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সেনা।

পরিস্থিতি নিয়ে ইউরি শেলমুক বলেন, অনন্য আর সস্তা ড্রোনগুলো আমাদের (ইউক্রেনের) প্রতিরোধ যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিল। বোঝা গিয়েছিল, যুদ্ধে নতুন ‘গেম চেঞ্জার’ হাজির হয়েছে।

এরপর থেকে ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম তৈরির শিল্প হালে পানি পায়। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উৎপাদন খাতে আট শতাধিক কোম্পানি গড়ে উঠেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর ১০০০তম দিন আজ ১৯ নভেম্বর।

যুদ্ধের শুরুর দিকে আকাশপথে জোরালো হামলা চালানো হয়। ব্যবহার হয় ড্রোনও। পরবর্তীতে স্থল আর সমুদ্র যুদ্ধের বিস্তার ঘটে। মোতায়েন করা হয় ড্রোনবিধ্বংসী প্রযুক্তি। সেই সঙ্গে যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারও ক্রমেই বাড়ানো হয়েছে।