০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইএসপিআরের বিবৃতি

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:২৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ১০ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট:বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পের্কে টানাপোড়েন চলছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে পতনের পর থেকে। তখন থেকেই মিথ্য প্রোপাগান্ডা, উগ্র বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক উসকানি, মিথ্যা তথ্যে ভরা প্রতিবেদন পরিবেশন করে আসছে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়েও ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব মিথ্যা প্রতিবেদনের জবাব দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতর অভ্যুত্থান ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়া নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ শাখা আইএসপিআর এ প্রতিবাদ জানিয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে আইএসপিআর বলেছে, দ্যা ইকোনোমিক টাইমস এবং দ্যা ইন্ডিয়া টুডেসহ কিছু ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থিতিশীলতা এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃত এসব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কমান্ড শক্তিশালী। সিনিয়র জেনারেলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আনুগত্যের প্রতি অটল। অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যে কোনো অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এবং বিদ্বেষপূর্ণ।’

‘বিশেষ করে উদ্বেগের বিষয় হলো, দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এই ধরণের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। এই সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র এক মাস আগে, গত ২৬ জানুয়ারি একই ধরণের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই ধরনের আচরণ এই সংবাদমাধ্যমগুলির উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। তদুপরি, বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং কয়েকটি অখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেলও এই মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর প্রচারণাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে, তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।’

আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা এই সংবাদমাধ্যমগুলোকে, বিশেষ করে ভারত বেইজড সংবাদমাধ্যমগুলোকে, ভালো সাংবাদিকতা অনুশীলন মেনে চলার এবং যাচাই না করা এবং চাঞ্চল্যকর গল্প প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে যে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তাদের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) থেকে মন্তব্য চাওয়া এবং যাচাই করা উচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে সঠিক এবং অফিশিয়াল তথ্য দেওয়ার জন্য আইএসপিআর সব সময় অ্যাভেইলেবল রয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। আমরা সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার এবং অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় নিউজ

সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইএসপিআরের বিবৃতি

Update Time : ০৬:২৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পের্কে টানাপোড়েন চলছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে পতনের পর থেকে। তখন থেকেই মিথ্য প্রোপাগান্ডা, উগ্র বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক উসকানি, মিথ্যা তথ্যে ভরা প্রতিবেদন পরিবেশন করে আসছে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়েও ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব মিথ্যা প্রতিবেদনের জবাব দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতর অভ্যুত্থান ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়া নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ শাখা আইএসপিআর এ প্রতিবাদ জানিয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে আইএসপিআর বলেছে, দ্যা ইকোনোমিক টাইমস এবং দ্যা ইন্ডিয়া টুডেসহ কিছু ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থিতিশীলতা এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃত এসব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কমান্ড শক্তিশালী। সিনিয়র জেনারেলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আনুগত্যের প্রতি অটল। অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যে কোনো অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এবং বিদ্বেষপূর্ণ।’

‘বিশেষ করে উদ্বেগের বিষয় হলো, দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এই ধরণের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। এই সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র এক মাস আগে, গত ২৬ জানুয়ারি একই ধরণের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই ধরনের আচরণ এই সংবাদমাধ্যমগুলির উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। তদুপরি, বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং কয়েকটি অখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেলও এই মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর প্রচারণাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে, তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।’

আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা এই সংবাদমাধ্যমগুলোকে, বিশেষ করে ভারত বেইজড সংবাদমাধ্যমগুলোকে, ভালো সাংবাদিকতা অনুশীলন মেনে চলার এবং যাচাই না করা এবং চাঞ্চল্যকর গল্প প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে যে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তাদের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) থেকে মন্তব্য চাওয়া এবং যাচাই করা উচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে সঠিক এবং অফিশিয়াল তথ্য দেওয়ার জন্য আইএসপিআর সব সময় অ্যাভেইলেবল রয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। আমরা সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার এবং অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।